“ এই নিদানকালে আমাদের পাশে কেউ নাই”-ভাঙন কবলিতদের আকুতি

নিজস্ব প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে রবিবার ভোররাতে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ সড়ক সহ ৩টি বসতভিটে বিলীন হয়ে গেছে। এরা হলেন-উক্ত গ্রামের আঃ খালেক মন্ডল, নবীন মন্ডল ও আবুল কাশেম মন্ডল। পদ্মা নদীর আকস্মিক ভাঙনের ফলে উক্ত গ্রাম জুড়ে চরম আতংক বিরাজ করছে। অনেক সমর্থবান পরিবার অনত্র জমি কিনে বসতভিটে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। আর হত দরিদ্র পরিবারগুলো নিয়তির দোহাই দিয়ে ভাঙনমুখী পদ্মা পারে পরিবার পরিজন নিয়ে শুধু হতাশা ব্যক্ত করে চলেছে। রবিবার দুপুরে ওই গ্রামের রিক্সা চালক আক্কাস মন্ডল এ প্রতিবেদককে দেখে বলে ওঠেন, “ আর কত ছবি উঠাবেন ভাই, আমাদের দুঃখ কেউ দেখলো না। বছর ভইর‌্যা হুনলাম পদ্মা বানবো, সবাই মিথ্যা কথা কয়, এই নিদানকালে আমাদের পাশে কেউ নাই”। 
তবে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন,“ চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে আড়াই কি.মি. পদ্মা পারে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য ৩৩৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গত এক সপ্তাহ আগে একনেকে পেশ করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে আগামী শীত মৌসুমে উপজেলা ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হতে পারে”। 
জানা যায়, গত ক’দিন ধরে উপজেরা পদ্মা নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি ও খড়ো স্রোত  বইছে। এতে রবিবার ভোররাতে উপজেলা বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়কের মাথায় পদ্মা নদীর পাড় ঘেষে এলাকায় খড়ো স্রোত পাকে একের পর এক বসত ভিটেগুলো বিলীন হয়ে যায়। এসব ভিটের উপর বসত ঘরগুলো আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও জানা যায়। এ সময় এলাকাবাসী সৌর চিৎকার করতে থাকলে উক্ত গ্রামের আঃ খালেক মন্ডল, নবীন মন্ডল ও আবুল কাশেম মন্ডলের পরিবারের গাছপালা কাটা সহ বসত ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়।
Share on Google Plus

0 comments: