চরভদ্রাসন ধ্বংষের মুখে।

পদ্মার ভাঙন রোধ না করা গেলে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে চরভদ্রাসন উপজেলা
নাজমুল হসান নিরব,নিজস্ব প্রতিবেদক-
ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মায় ভাঙন যেন এক দুঃস্বপ্নের নাম।প্রতিবছর বাড়ি-ঘড় ছাড়া হয় কয়েক গ্রামের মানুষ।ইতি মধ্যে পদ্মার করাল গ্রাসে নিঃশেষ হযে গেছে চারটি ইউনিয়নের দুটি ইউনিয়ন।বাকি দুটি ইউনিয়ন এখন ভাঙনের চরম পর্যায়ে।মনে হচ্ছে কখন যেন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায় এই দুটি ইউনিয়ন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের এমপি ডাংগি গ্রামের মেইন সড়কের মাত্র ২০ হাত দুড়ে পদ্মা।ভাঙনের গতিও তীব্র।দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধ হবে কিনা তা বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা।আর এই এমপি ডাংগি গ্রামের পদ্মার পাড় ধরে আগের গ্রাম হলো বালিয়া ডাংগি গ্রাম।এই গ্রামের ভাঙনের অবস্থা আরো ভয়াবহ।
গত কয়েকদিন যাবৎ সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়,একে একে ভেঙে যাচ্ছে ইউনিয়নের পুরোনো গ্রামের বসতবাড়িগুলো।গত বছর ও উক্ত গ্রামের অর্ধেক বাড়িঘড় ভেঙে যায়।এ বছর বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই পদ্মায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।এলাকার গন্যমান্য ও মুরুব্বিরা বলছে এভাবে ভাঙতে থাকলে সদর বাজার সহ পদ্মায় বিলীন হতে পারে সদর উপজেলা।
গত কয়েকদিনে উক্ত গ্রামের প্রায় ১০-১২ টি বসতঘড় পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন কবলিতরা হল,আবুল কাশেম মন্ডল,কাউছাড় মন্ডল,আক্কাছ মন্ডল,পান্নু মন্ডল,পাঞ্জু বেপারি,সিকান্দার মোল্যা,হানিফ মোল্যা,রাজ্জাক মোল্যার বসতভিটে।বৃদ্ধ আবুল কাশেম মন্ডল দুঃখ ও আর্তনাদের সাথে জানান,“বসতভিটে হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব,কই যামু ,কি করুম, কি খামু তা একমাত্র আল্লাহই জানে।এমপি-মন্ত্রীরা শুধু ভোট চায় কিন্তু পদ্মায় আমাগো সব শেষ হয়ে যায় চোখেও দেখে না”।উক্ত গ্রামের আরেক বৃদ্ধ আমজেদ খান জানান ,“শুনছি সরকারের এত উন্নতি হয় অত উন্নতি হয়।কোটি কোটি টাকা দিয়ে বড় বড় বিল্ডিং হয় ব্রীজ হয় কিন্তু‘ পদ্মার ভাঙন তো রোধ হয় না। শুনছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু তাইলে আমাদে বিপদ আপদ দেখে না কেন”।
এ দিকে উক্ত গ্রামের মেম্বার বারেক মন্ডল জানান বাড়িঘড় পদ্মায় ভাঙার পড়ে আমরা উপজেলায় ১৮ পরবারের লিষ্ট জানাইছি।কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ কোন সাহায্য সহযোগিতা করে নাই তবে হবে।
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খান জানান ,এমপি ডাংগি এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বালিয়া ডাংগি ও ফাজিল খার ডাংগি এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে এখন ও কোন ব্যাবস্থা হয়নি । তবে আমরা সকল পর্যায়ে বিষয়টা গুরুত্বেও সাথে জানায়ছি।এখন কি ব্যাবস্থা নেয়া হবে তা ঠিক করা হয়নি।তবে খুব দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি ব্যাবস্থা নেওয়া না হয় তবে চরভদ্রাসনের মানুষের আবস্থা কি যে হবে তা অল্লাহ্ই জানে।তবে চরভদ্রাসন হুমকির মুখে।
Share on Google Plus

0 comments: