নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি- ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলায় জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পাড়াপার হচ্ছে যাত্রীগন।চরভদ্রাসন থেকে ঢাকা যাওয়ার সহজ ও দ্রুততম পথ হলো গোপালপুর-মৈনুট এই নদী পথ। মাত্র ২০ মিনিটে সী বোডে আর ৫০ মিনিটে ট্রলারে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সহজেই পৌছানো যায়।সময় বাচানোর জন্য বেশিরভাগ যাত্রীরাই সী বোডে পদ্মা পার হয়।কিন্তু বৃষ্টি ও বর্ষার মৌসুমে পদ্মার চেহারা যেন একটু ভয়ংকর হয়ে ওঠে।পদ্মা ক্ষুদার্থ হয়ে ওঠে।পানির বৃদ্ধি ও গভীরতা বাতাসের সাথে মিশে তৈরী হয় এক ভয়ংকর ঢেউয়ের।ঢেউয়ের বাড়িতে প্রায় ৫-৬ ফিট উপরে উঠে যায় সী বোর্ড।যেখানে চালকের বিন্দুমাত্র অসতর্কতা ও অসাবধানতার কারনে ডুবে যেতে পারে সী বোড।আর অদক্ষ ও দায়ীত্বহীন চালক দ্বারা আরো হুমকীর মুখে পড়ে যাত্রীদের জীবন।
আজ শনিবার দুপুর তিনটার দিকে মৈনট ঘাট থেকে ৮ জন যাত্রী নিয়ে একটা বোড ছেড়ে আসে গোপালপুর এর উদ্দেশ্যে যেখানে একজন মেয়ে ছিল।সে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সাথে ছিল সহকর্মী। তারা কখনও এই পথ দিয়ে যাতায়ত করে নাই।নদীর ঢেউ বা পানি সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা ছিলনা।বোডটি ৫ মিনিট চলার পড়ে তার সম্পুর্ন ভিজে যায়।এবং প্রচুর ঢেউয়ে তারা ভয় ও পায়।চালকের কাছে লাইফ জ্যাকেট চায়লে চালক লাইফ জ্যাকেট নাই বলে রাগন্বিত হয়ে উত্তর দেয়।
ঈাড় হয়ে সদর বাজারে সাংবাদিকদের কাছে ঐ যাত্রী মেরিনা দেবী জানান,আমরা কোনদিন এই রাস্তায় আসিনি।তাই কোনকিছু না বুঝে সী বোডে উঠে যাই। প্রথমে ঢেউয়ে পদ্মার পানিতে ভিজতে থাকি, চালককে জানালে সে বলে আমিও তো ভিজতেছি, ঢেউয়ের পরিমান বাড়লে লাইফ জ্যাকেট চাইলে সে নাই বলে জানায়।সে বাজে ভাবে রাগান্বিত হয়ে কথা বলতে থাকে।আমারা যে বেচে ফিরব সেটা ভাবিই নাই।
অপর যাত্রী সুকান্ত হালদার আমাদের জানায়,বিদেশে খারাপ মানুষ দেখেছি কিন্তু বাংলাদেশে যে খারাপ মানুষ আছে তা ঐ ড্রাইভারকে না দেখলে বুঝতাম না।আবার ভাড়াও স্বাভিক এর থেকে বেশী ;২০০ টাকা।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা এর প্রতিবাদ করেন না কেন।তারা উভয় ই আমাদের জানায়,"আমরা কোন পোষাক আনিনাই, সারা শরীর ভেজা এখন এইভাবে ভেজা থাকলেতো আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব।
এ ব্যাপারে তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য ঘাটে গেলে দেখা যায় এখনও লাইফ জ্যাকেটহীন ভাবে সী বোডে যাত্রীরা নদী পারাপার হচ্ছে।এ ব্যাপারে যাত্রী সৌদী প্রবাসি নাজমুলের কাছে জানতে চায়লে তিনি জানায়,আমাদের কোন লাইফ জ্যাকেট দেয়নি আর ভাড়া ২০০ করে নিয়েছে।
ঘাট কৃতপক্ষের কাছে এ ব্যাপার জিগ্যেস করলে জনাব বজলু মৃধা জানায়,যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পড়তে চায় না তাই দেই না।সাথে সাথে সী বোডে বসারত এক যাত্রী বলে উঠে আমাদের লাইফ জ্যাকেট দিন,লাইফ জ্যাকেট ছারা আমরা যাব না!!
যাত্রীর সাথে খারাপ ব্যাবহার ও লাইফ জ্যাকেট দেয়নি এ ব্যাপারে জানতে চায়লে তিনি বলেন,কোন চালক এমন করেছে তা আমাদের জানা নাই তবে ঘটনাটি দুঃখজনক।
0 comments: