নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর(চরভদ্রাসন)প্রতিনিধি-
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন একটি ছোট উপজেলা।যার চারটি ইউনিয়নের দুটি ইউনিয়নই পদ্মার গ্রাসে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।তবে বাকি দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০% ভাগ দৈনিন্দ আয় হয় বৈদেশিক রেমিট্যান্স থেকে।বলা যায় এই এলাকার প্রায় ৮০%পরিবারের লোক প্রবাসি।তাই এই এলাকায় বানিজ্যিক ব্যাংক খুবই গুরুত্বপুর্ন।সেই চাহিদা অনুযায়ী চরভদ্রাসনে ২৩-৫-১৯৮৩ সালে সোনালী ব্যাংক এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।শুরুর দিকে ব্যাংকের সুযোগ,সুভিদা ও সেবা ভালো হওয়ার কারনে মুনুষের ভীর পড়েই থাকত এই ব্যাংকে।কিন্তু পর্যাপ্ত সেবার অভাবে বর্তমানে সরকারী বেতন,পেনশন বা বিভিন্ন ভাতা ব্যাতীত এই ব্যাংকে কেউ যেতেই চায় না।
রবিবার দুপুর একটার দিকে এই ব্যাংকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,ব্যাংকে কোন কর্মকর্তা বা স্টাফ নেই ।গ্রাহকে ব্যাংক পরিপুর্ন।গ্রাহকগন জানায় ব্যাংকের সকল স্টাফ ও কর্মকর্তা দুপুরের খাবারের বিরতিতে আছে।স্বাভাবিক অন্যান্য ব্যাংকে দেখা যায় একজন বিরতিতে গেলে আরেকজন দায়িত্ব পালন করছে।গ্রাহকগন আরো বলে,অন্যান্য ব্যাংকে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সার্ভিস দিতে থাকে কিন্তু এখানে ওনারা ওনাদের সুভিদামত কাজ করেন।ব্যাবহার ও ভালো করেনা।
ব্যাংক ম্যানাজারের রুমে গেলে দেখা যায় তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে ব্যাস্ত । আর সামনে গ্রাহক দারিয়ে রয়েছে।গ্রাহক আছে কর্মকর্তা নাই এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলে সবাই একসাথে দুপুরের খাবারের বিরতিতে আছে।তিনি আরো জানায় মোট ১৩ টি পোষ্ট থাকলেও ব্যাংকে মাত্র আমরা ৭ জন আছি।আমি আসার পরেও একজন গেছে।এখন লোন সাইটটি নিয়ে মোট ৬ টি পোষ্ট খালি আছে।এতদিন উপড় পর্যায়ে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে তবে গত ১৭ তারিখে লিখিতভবে জানানো হয়েছে।দ্রæত নিয়োগ হবে কিনা জানতে চায়লে তিনি বলেন এ ব্যাপারে জেনারেল ম্যানাজারের সাথে কথা হয়েছে তিনি বলেছে লোক হলে দিব।
ভুক্তভোগি জনাব নাজির হোসেন জানায়,“আমি কারখানায় কাজ করি ,কারেন্ট বিল দিতে আসছি ১ ঘন্টা যাবৎ, বসে আছি।কারেন্ট বিল সই করেছে তবে টাকা জমা দিতে পারিনি,বলেছে লাঞ্চের পরে নিবে”।
আনোয়ারা নামে এক মহিলা জানায়,আমি একটি এ্যাকাউন্ট করতে আসছি,একবার এইপাশ আবার ঐপাশ এভাবে সকাল থেকে ঘুড়ছি।জানিনা কখন শেষ হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা জানায়,কোন কাজে সোনালী ব্যাংকে গেলে সারাদিনের নিজের কাজ শেষ হয়ে যায়।কোন সেবা বা সহযোগিতা ঐ ব্যাংকে নাই।মানুষ বিপদে না পড়লে ঐ ব্যাংকে যাইতো না।
ম্যানেজার এ কে এম নুরুল আলম আরো জানায়“ আপনারা চরভদ্রাসনের মানুষ ভালো দেখে আমরা এখন টিকে আছি তা না হলে এত কম স্টাফ নিয়ে একটি শাখা পরিচালনা করা সম্ভব নয়”।
0 comments: